নয়াদিল্লি: ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে কেন্দ্র যে আইন প্রবর্তন করেছিল, তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট। সিইসি এবং ইসি পদে নিয়োগে যে প্যানেল গঠিত হয়েছে, তাতে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই আইনে স্থগিতাদেশ দিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।
তবে সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রকে একটি নোটিস দিয়ে আগামী এপ্রিলের মধ্যে বক্তব্য জানাতে বলেছে। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুরের আবেদনের শুনানিতে সায় দিলেও এই মুহূর্তে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকৃত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ একথা জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সুজিতের কাছে কী কী জানতে চাইল ইডি?
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হওয়া নির্বাচন কমিশনার্স অ্যাক্টের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়া ঠাকুর। সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি। এই আইনের ফলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরের হয়ে আদালতে আইনজীবী বিকাশ সিং সংবিধানের মূল কাঠামোকে উপেক্ষার অভিযোগ তোলেন। তাঁর মতে, প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া ক্ষমতার পৃথকীকরণ মতবাদের লঙ্ঘন হয়েছে। অর্থাৎ আইনসভা, কার্যনির্বাহী এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজনের যে বণ্টন ব্যবস্থা সংবিধানে রয়েছে, তাকে মান্যতা দেওয়া হয়নি।
আইনজীবী সিংয়ের যুক্তি শোনার পর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে পারি না আমরা। তবে আমরা কেন্দ্রকে নোটিস দিতে পারি। এই বলে এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্য খবর দেখুন